নক্ষত্রের গোধূলি-[১২৫]-১১৯

২৪৭।
বুধবারে দুপুরে দুইজনে একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলেনআজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই রান্নার আয়োজন করেছিলেনবিরিয়ানি, শামি কাবাব আর মুরগির রোস্ট, শসা, টমাটো, পিঁয়াজ কাঁচামরিচ দিয়ে বাংলাদেশি ঝুরি সালাদ সাথে এক
টু টক দৈ দিয়েছিলেনযাবার আগে দুইজনে একসাথে একটু ভাল খাবার খেয়ে দিনটাকে স্মরনীয় করে রাখার ইচ্ছা। দুইজনেই খুবই তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছে। ফাঁকে ফাঁকে টুকি টাকি কথা হয়েছে। আহাদ আগেই তার কায়রোর বাড়ির ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দিয়েছিল। বারবার মনে করিয়ে দিল সপ্তাহে সপ্তাহে মেইল পাঠাবে আর যদি কখনও ওদিকে আস তবে অবশ্যই কায়রো আসবে। আমি তোমাকে হেলিপোলিসে গিয়ে কায়রো এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে আসব।
রাশেদ সাহেবও বলেছিল, তুমি এখন সাব কন্টিনেন্ট এবং সাউথ ইস্ট এশিয়াতে ব্যবসা করবে আমাদের দেশেও অনেক খেজুর আমদানি করে বিশেষ করে রমজানে কাজেই ওদিকে গেলে আমাকে জানাবে। হয়ত আবার দেখা হবে।
খেয়ে রাশেদ সাহেবের ওই ব্যাগটা নিয়ে বের হলেনআহাদ নেমে গাড়ি বের করে আনল
গাড়ি ছুটে চলেছে। রাশেদ সাহেব কখনও বিদায়ের পথে পিছনে ফিরে দেখে না, যা রেখে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। শুধু শুধু মায়া বাড়িয়ে লাভ কি? এখানে আবার কোনদিন ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।

সময় মত কিং সাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছে রাশেদ সাহেব কাঁধে তার ব্যাগ ঝুলিয়ে আহাদের সাথে কোলাকুলি কর্লেননরম মনের রাশেদ সাহেবের চোখ বেয়ে একটু পানি আসল, সাথে সাথে পকেট থেকে টিসু বের করে মুছে নিলেন
-আসি বন্ধু তোমার কথা আমার অনেকদিন মনে থাকবে আসলে আমি তোমাকে কোনদিনই ভুলতে পারব না। -আবার দেখা হবে
পিছনে ঘুরে এগিয়ে গেলেনচেক ইন কাউন্টারে টিকেট ব্যাগেজ চেক করে বোর্ডিং কার্ড নিয়ে এবার সিকিউরিটি গেটের দিকে। দোহা থেকে প্লেনে উঠার বোর্ডিং কার্ডও দিয়ে দিয়েছে। মনে করে সার্টের পকেটে রেখে দিলেন কী জানি ইদানীং তার মন যা ভুল করছে তাতে আবার কার্ডটা হারিয়ে না ফেলে।
সব ফর্মালিটিজ সেরে শেষ ওয়েটিং লাউঞ্জে বসে আছেনএকটু পরেই প্যাসেঞ্জার বোর্ড করবে। ভীষণ তেষ্টা পেয়েছে। মনে করে কি পানির বোতল এনেছে? ব্যাগ খুলে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পানির বোতল পেলেন না। উঠে গিয়ে একটা দোকান থেকে ৫০০মিলি এক বোতল পানি কিনে সবটা এক চুমুকে খেয়ে নিলেন। সামনে অনেকেই ফোন করছে। ফ্রি ফোন, কোন টাকা পয়সা লাগে না। ফোন করে জানিয়ে দিব? না থাক! আবার একটু পরে, ফোন করেই দেই অন্তত ওরা যদি এয়ারপোর্টে আসে! যদিও কারো আসার দরকার নেই সকাল আটটার পরে ল্যান্ড করবে। ইমিগ্রেশন, কাস্টম সেরে বের হতে আরও অন্তত এক ঘণ্টা ততক্ষণে নিশ্চয়ই ট্যাক্সি পাব। না, এতদিন পরে যাচ্ছি এর মধ্যে কত কী পরিবর্তন হয়েছে, আবার কোন ঝামেলায় পড়ব? থাক একটা ফোন করেই দেই। ঘড়ি দেখলেনএখনও হয়তসবাই জেগে আছে রাত তেমন হয়নি।
আস্তে আস্তে ফোনের কাছে গিয়ে একটা খালি ফোনের রিসিভার উঠিয়ে ডায়াল করলেন
ওপাশে বীথী ধরেছে
-হ্যালো
-আব্বু? কেমন আছ?
-ভাল আছি আব্বু, আমি আজ আসছি, এখন ডারবান এয়ারপোর্ট থেকে বলছি
-তাই নাকি, আম্মু! আব্বু আসছে!
বলেই এক চিৎকার দিল, এখান থেকে রাশেদ সাহেব শুনলেনসঙ্গে সঙ্গে একসাথে কয়েক জনের শব্দ, কে আসছে? আব্বু আসছে! মাঝুর গলার শব্দ শুনে রাশেদ সাহেবের অজানা আতংকের কিছুটা হালকা হয়েছিল কিনা বলতে পারব না
-কখন ল্যান্ড করবে আব্বু?
-আগামী পরশু সকাল আটটায়
-আচ্ছা আস আব্বু আমরা থাকব।
-আচ্ছা আব্বু তাহলে এখন রাখি, প্লেনে ওঠার কল দিচ্ছে।


২৪৮।
আবার প্লেনে ওঠা, আবার নিচের দিকে আলো ঝলমল বিদায়ের নগরীর শেষ আলোক বিন্দুর দিকে তাকিয়ে থাকা। আবার দীর্ঘশ্বাস। তবে এবারের এগিয়ে যাওয়া আর আগের সব বিদায়ের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি না রাশেদ সাহেব বুঝতে পারছে না। আগেও যেমন অনিশ্চয়তার উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেছে এবারও কি তাই নয়? তবে ব্যবধান একটু আছে সে হচ্ছে এতদিন যেতে হয়েছে অজানা অচেনা ঠিকানায় অচেনা মানুষের ভিড়ে আর এবার যাচ্ছে চেনা শহরে চেনা মানুষের কাছে। কিন্তু এই চেনা মানুষেরা তার মত অল্প কয়েকটা টাকা পকেটে থাকা মানুষকে কতটা আপন করে নিবে সেটাই প্রশ্ন! আদৌ কি মন থেকে মেনে নিবে? প্লেনে বসে সারা পথেই এই এক ভাবনা। রাশেদ সাহেব পথে ঘুমাতে না পারলেও গত কয়েক রাত নির্ঘুম কেটেছে বলেই কিনা প্লেন উড়ে যাবার পরে খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছেনগভীর ঘুম। দোহা এয়ারপোর্টের কাছে এসে মাইকে এয়ার হোস্টেসের কণ্ঠ শুনে ঘুম ভাঙল। চমকে উঠে ঘড়ি দেখে অবাক হলেন! ছয় ঘণ্টা! এতক্ষণ ঘুমিয়েছি? তবুও ক্লান্তি যাচ্ছে না! একটু চা বা কফি হলে ভাল হোত কিন্তু প্লেন নামতে শুরু করেছে এখন আর কফি চাইবের সময় নেই, যাকগে দোহা গিয়েই কফি খাব।

দোহা এয়ারপোর্টে অনেকক্ষণ ট্রানজিট। এত লম্বা সময় একা একা কাটানো কঠিন ব্যাপার। প্রথমে নেমেই এক জায়গায় বসে এদিক ওদিক খুঁজে দেখলেন খাবার দোকান কোন দিকে উঠে এগিয়ে দেখলেন ওপাশেই অনেকে খাচ্ছে। এগিয়ে গেলেন, খাবার গন্ধে সেও ক্ষুধা অনুভব করল। কি খাই? হঠাৎ মনে হলো আরে এটা তো মুসলিম দেশ কাজেই আর কোন বাছবিচার নেই। কাঁচের সেলফে দেখে যা যা মনে চাইল কয়েক পদের অর্ডার দিলেন, সাথে একটা লার্জ কফি। মনে পড়ল তার কাছে শুধু ডলার আছে, ডলার কি নিবে? জিজ্ঞেস করলে ওরা সম্মতি জানিয়ে একটা ট্রেতে করে তার খাবার সাজিয়ে দিল। দাম দিয়ে ট্রে নিয়ে এক কোণায় যেখান থেকে কাঁচের দেয়ালের ওপাশে রান ওয়ে দেখা যায় তেমন একটা টেবিলে বসলেনদোহাতে এর আগেও প্রায় পয়ত্রিশ বছর আগে এসেছিলেনতখনকার প্রায় সবই চেনা তবে এই পয়ত্রিশ বছরে নিশ্চয়ই দোহা তেমন নেই যেমন তিনি দেখেছিলেনতবুও কিছু দেখার নেই, আর এত দেখে হবেই বা কি? তার চেয়ে রান ওয়ে দিয়ে বিভিন্ন প্লেনের আসা যাওয়া দেখতে দেখতে আস্তে আস্তে খেয়ে নিলেনবেশ ভালই লাগল, অনেক দিন পরে চেনা খাবারের স্বাদ গন্ধে অনেক কিছু মনে পড়ে গেল, অনেক দূর অতীত ঘুরে এসে কিছুটা আনমনা হয়ে পড়েছিলেনখাবার শেষ করে স্মোকিং রুম খুঁজে একটা বিড়ি খেয়ে আসলেনদেশে কথা বলার জন্য পকেটের মোবাইল অন করে দেখলেন ডারবানের ভোডাকমের লাইন এখানে স্থানীয় একটা লাইনের সাথে নেট ওয়ার্ক পাচ্ছে। বাড়িতে কল দিলেন
সেদিনের মত আজও মাঝু ধরল, -আব্বু আমি এখন দোহা এয়ারপোর্টে
-আচ্ছা আব্বু আস, তুমি আবার একা একা বের হয়ে এসো না আমরা সবাই যাব
-কেন বাবা শুধু শুধু ঝামেলা করার কি দরকার? আমার সাথে কোন লাগেজ নেই আব্বু!
-তাতে কি হয়েছে? তুমি একা আসতে পারবে? ঝামেলা আবার কি, তুমি যেমন দেখে গেছ এখনও কি তেমনি আছে? একা বের হবে না কিন্তু, মনে থাকে যেন। আম্মুর সাথে কথা বলবে?
-আচ্ছা আব্বু, বের হব না, আমার ফোনে যত রেন্ড আছে তাতে মনে হয় আর বেশিক্ষণ রোমিং পাব না, দাও একটু বলি
-মনির কণ্ঠ ভেসে এলো, হ্যালো
এ পাশ থেকে হ্যালো বলতেই লাইন কেটে গেল। তার মানে রেন্ড শেষ। মোবাইলটা অফ করে পকেটে রেখে দিলেন
এত লম্বা সময় কাটাব কি করে? উঠে সামনের ট্রান্সফার ডেস্কে বসা ইয়েমেনি এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলেন, -এখানে ইন্টারনেট কানেকশন কোথায় পাব?
-সম্পূর্ণ এয়ারপোর্টে ওয়াই ফাই আছে তুমি যে কোন জায়গায় বসে নেট পাবে
-বেশ! ধন্যবাদ।
আবার এসে নিরিবিলি একটা সুবিধা মত সোফায় বসে ব্যাগ খুলে ল্যাপটপ বের করে অন করে দেখলেন সত্যিই কানেকশন পাচ্ছে। কোথাও কোন প্রয়োজন নেই শুধু শুধু এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করতে করতে মনে এলো আহাদকে একটা মেইল পাঠান দরকার। অনেকক্ষণ ভেবে চিন্তে সুন্দর করে ওর সাথে দেখা হবার পর থেকে এ যাবত যা যা হয়েছে সব কিছু বিস্তারিত লিখে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটা মেইল পাঠিয়ে দিলেনসাথে বাড়ির ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দিতে ভুল হয়নিঘড়িতে দেখলেন এখনও অনেক দেরি। দোহা নেমে কফি খাবার সময়েই ঘড়ির সময় আপডেট করে নিয়েছিলেনকি করা যায়? ও হ্যাঁ, বিলাতে যারা আছে ওদের কাছেও তার দেশে যাবার সংবাদ জানিয়ে দেয়া যায়। আসার আগে মন খারাপ ছিল বলে কারো কাছেই ফোন করা হয়নি। আবার ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে এক কাপকফি নিয়ে আসলেনস্মোকিং রুমে গিয়ে বিড়ি টেনে আসলেন কিন্তু ঘড়ির কাটা যেন কেও আঠা দিয়ে আটকে রেখেছে কিছুতেই চলতে চাইছে না। দেশে যাবার আনন্দে নয় এখানে একা থাকার বিরক্তির জন্য। আর কত একা থাকবে? আর ভাল লাগছে না। এমন সময় দেখলেন এক বাংলাদেশি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। হয়ত কোথাও থেকে এসেছে এখানে ট্রানজিট, একই ফ্লাইটে হয়ত যাবে, সহযাত্রী। লোকটা তাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসল।
-আপনি বাঙালি?
-হ্যাঁ
-ঢাকা যাবেন?
-হ্যাঁ
-তাহলে এখানে বসি?
-বসেন।
-আপনি কোথা থেকে আসছেন?
-ডারবান, আপনি?
-রোম থেকে আসছি, যাক ভালই হলো কথা বলা যাবে
রাশেদ সাহেবের মেজাজ এমনিই বিষণ্ণ হয়ে আছে। ক্লান্তি, কয়েকদিনের অনিদ্রা, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি নানা অশান্তিতে ভরে আছে তার মন। তবুও প্লেনে ভাল ঘুম হয়েছে বলে শরীরটা একটু ভাল লাগছে। এতক্ষণ একা ছিল বলে বিরক্তি লাগছিল কিন্তু এখন আবার একে পেয়ে বিরক্তি লাগছে কারণ সে বাঙ্গালিদের সাথে খুব একটা মিশতে চায় না। এদের অবাঞ্ছিত সব কৌতূহলএকটু পরেই হয়ত জিজ্ঞেস করে বসবে আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে? কি করতেন ওখানে? কিংবা, ভাই বিয়ে করেছেন? তবুও যাক একজন পাওয়া গেল
-আমি ইটালিতে থাকি, নাম আক্কাস
-হ্যাঁ বুঝতে পারছি
-ছয় বছর পরে দেশে যাচ্ছি, আপনি?
-আমি এক বছর পর।
ইচ্ছে করেই উদ্ভট একটা কথা বলে দিল নয়ত সে জানে অনেক অবান্তর কথার জবাব দিতে হবে যা তার কাছে ভাল লাগবে না। লোকটা ভাল প্যাঁচাল পারতে পারে। এতদিন পরে দেশে যাচ্ছে বলে মনের আনন্দে কথার খৈ ফুটছে। কার কার জন্য কি কি এনেছে থেকে শুরু করে কবে কি ভাবে গেছে, কি কি করেছে সব এলোমেলো ভাবে বলছে। রাশেদ সাহেব শুনে শুধু হু হ্যাঁ করছে। যাক তবুও একা থাকতে হচ্ছে না। দুপুরের খাবার সময় হয়েছে এয়ারলাইন্সেরই খাবার দেয়ার কথা ছিল কিন্তু ওদের কাওকে না দেখে নিজেরাই চলে গেলেন খাবার এলাকায়। দেখে দেখে একটা ইন্ডিয়ান দোকানে বসলেন। রাশেদ সাহেব পরটা আর ভুনা মুগডালের অর্ডার দিলেন তাকে দেখে ওই লোকটাও তাই বললোখেয়ে আবার কফি নিয়ে এসে বসলেন সেই আগের সোফায়।কফি শেষ করে ব্যাগটা আক্কাসের জিম্মায় রেখে বিড়ি টানতে গেলেন, একটু টয়লেটেও যাওয়া দরকার।

ফিরে এসে আবার ল্যাপটপ খুলে বসলেনচার্জ ফুরিয়ে গেছে। উঠে দেয়ালের পাশে কয়েকটা সকেট খুঁজে পেয়ে আবার ব্যাগটা নিয়ে এসে সকেটের কাছেই বসলেনল্যাপটপ অন হলো কিন্তু কি করবে? না কিছুই করার নেই তবুও মেইল খুলে দেখে ফিরোজ আর শাহেদ এর মধ্যেই উত্তর দিয়েছে। দেশে ফিরে যাচ্ছে বলে ওরা আনন্দিত হয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে, কিন্তু রাশেদ সাহেব জানে এই মেকি অভিনন্দনের মূল্য কতটা! তাই সে ওদের মত খুব একটা আনন্দ পাচ্ছে না। মানুষকে কত সময় কত ধরনের অভিনয় করতে হয় তার কোন সীমা নেই। অনেক সময় কিছুই ভাল লাগছে না অথচ নির্দ্বিধায় মুখে হাসি ফুটিয়ে বলতে হয় না না সব ঠিক আছে, বেশ ভালই তো। এরই নাম ভদ্রতা, শিষ্টতা। এই ব্যাকরণ মেনে না চললে ভদ্রলোক হওয়া যায় না। লোকে অভদ্র ভেবে বসে। কিন্তু এই নকল ভদ্রতার কি মূল্য আছে? ভদ্রতার আড়ালে কত ব্যথা, কত যন্ত্রণা লুকিয়ে থাকে সে খবর কয়জনে রাখে? এক সময় দেখা যায় এই ভদ্রতা রক্ষা করতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত মানসিক রুগী হয়ে গেছে, পৃথিবী বিষাক্ত হয়ে গেছে। এত সুন্দর করে সাজান ফুলের বাগান তখন আর ফুলের বাগান বলে মনে হয় না আবর্জনা হয়ে যায়। এত কী ভাবছি? নিজেকেই জিজ্ঞেস করলেননাহ! আর কিছু করার নেই। অফ করে ল্যাপটপটা ব্যাগে ভরে কাঁধে ঝুলিয়ে বললেন চলেন আক্কাস সাহেব একটু হাঁটা হাঁটি করি। কাঁচের দেয়ালের ভিতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে কত দেশের কত প্লেন যাচ্ছে আসছে। কতজন প্রিয়জনকে ছেড়ে যাচ্ছে আবার তেমনি কতজন আসছে প্রিয়জনের কাছে। বিচিত্র এই পৃথিবী। একই সময়ে কত কি ঘটে যাচ্ছে। এর মধ্যে লন্ডন এবং কুয়েত থেকে দুইটা ফ্লাইটে ৪/৫ জন বাংলাদেশি আসল এই একই ফ্লাইটে তারাও ঢাকা যাবে। তাদের সাথেও কিছু কথাবার্তা হলো। কিন্তু কিছুতেই সময় যেতে চায় না। রাত এগারটায় ফ্লাইটএখনও অনেক দেরি।
[চলবে]

No comments:

Post a Comment

Back to Top