নক্ষত্রের গোধূলি-[১২৫]-৪

৮।
ওখান থেকে সোজা নারায়ণগঞ্জ চলে এলেন। এখানে যাদের চিনতেন তাদের খুঁজে বের করলেন।
-আরে রাশেদ, কি ব্যাপার? হঠাৎ দেখলাম তোমাকে!
-হ্যাঁ এইতো তোমাদের দেখতে এলাম।
কিছু আবোল তাবোল বলে শেষ পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলেন-
-আচ্ছা রফিক কোথায় জান?
-হ্যাঁ জানি। কেন কোন কাজ আছে?
-না, তেমন কিছু না, এখানে এলাম যখন একটু দেখা করে যাই।
-ওঃ আচ্ছা, ঠিকানা তো বলতে পারবো না তবে ও চাষাড়ায় থাকে, এমনি বাসা চিনি। ওর ফোন নম্বর আছে ফোন করে জেনে নাও বলে নম্বরটা দিয়ে দিল।
-তাহলে আজ উঠি কি বল?
-আচ্ছা আবার এসো
আরও কয়েক জনের সাথে দেখা হলো।  যাদের কাছে বলতে পারে এমন দুই এক জনের সাথে আলাপ করলো। সবারই এক কথা। না রাশেদ, তুমি এই এতো দিন সরকারি  চাকরি করে এখন আর এই সব চাকরি করতে পারবে না। আগের সে পরিবেশ আর নেই অনেক বদলে গেছে, এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়েই রফিকের কাছে ফোন করলেন।
ও প্রান্ত থেকে রফিকের কণ্ঠ ভেসে এলো।
-ও, রাশেদ ভাই? আপনি কোথা থেকে, কেমন আছেন?
-বলছি, তুমি এখন কোথায়? বাসায়! আচ্ছা তাহলে আমি আসছি।
-আমার ঠিকানা জানেন?
-না বল
ঠিকানা নিয়ে বললো-  
-আমি এখন নারায়ণগঞ্জে আছি, তুমি আছ তো বাসায়?
-হ্যাঁ আছি আপনি আসেন
একটা রিকশা নিয়ে চাষাড়া চলে এলেন। বাসা খুঁজে পেতে কোন অসুবিধা হলো  না, রফিক দোতলা বাসা ছেড়ে নিচে এসে দাঁড়িয়ে ছিলো। রফিক রাশেদ সাহেবের জুনিয়র হলেও অনেক দিন আগে একই জাহাজে এক সাথে প্রায় দুই বৎসর কাজ করেছে। রাশেদ সাহেবকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করে, মাঝে কয়েকবার খুলনা গিয়েছিলো তখন দেখা করে এসেছে। উপরে যেতে যেতে রফিক বললো-  
-মহিউদ্দিনকে ফোন করি ও আসুক।
-ও কোথায়?
-ওই তো ওই বিল্ডিংয়ে থাকে
-ডাক তাহলে দেখি অনেক দিন যাবত দেখি না।
একটু পরেই মহিউদ্দিন এলো।
-কেমন আছেন রাশেদ ভাই?
-ভালো, তুমি কেমন আছ? তোমাকে তো চিনতেই পারতাম না যদি রফিক আগে না বলতো
-চিনবেন কি ভাবে আজ কতদিন পরে দেখা, প্রায় বিশ বছর তাই না?
-হ্যাঁ তা হবে
চা নাস্তার সাথে নানান ধরনের কথা বার্তাএর মধ্যে রফিকের স্ত্রী এসে সালাম করে গেলো। রফিকের স্ত্রীকে এই প্রথম দেখা। রফিকের ছেলে মেয়েরাও স্কুল থেকে এলো। ওদিকে রফিকের স্ত্রী রান্না বান্নার বিশাল আয়োজন সেরে ডাকল খেয়ে আসার জন্য। রাশেদ সাহেব টেবিলে এসে দেখে অবাক।
-এসব কি করেছ? এতো কিছু, কেন?
-ভাই, আপনি আমাদের বাসায় এই প্রথম এলেন তাই, আপনার কথা ওর কাছে অনেক শুনেছি, শুনতে শুনতে আমারও মনে হোত আমিও যেন আপনাকে খুব চিনি।
-তাই বলে এই অসময়ে এতো ঝামেলা করতে হবে? যাক যা করেছ বেশ করেছ
খাবার পর আবার এক দফা চা। এই বার রাশেদ সাহেব তার এখানে আসার আসল কথা খুলে বললেন। রফিক এবং মহিউদ্দিন বেশ মনোযোগ দিয়েই তার সব কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলো।
-রাশেদ ভাই আপনি এ কি বলছেন! আপনি আবার জাহাজে চাকরি করবেন?
-বাঁচতে তো হবে, না কি?
-আপনাকে কি ভাবে বলবো বুঝতে পারছি না, না রাশেদ ভাই এখন আপনার দ্বারা এ কাজ করা আর সম্ভব নয়। আমি আর রফিক তো এক জাহাজে আছি আপনি একদিন চলেন, আমাদের সাথে। জাহাজে করে চিটাগাং যাই, এতে আপনার একটু বেড়ানোও হবে আর সেই সাথে নিজ চোখে বাস্তব অবস্থাটাও দেখে আসতে পারবেন। আপনি কি পরশু যেতে পারবেন? আমরা পরশু সন্ধ্যায় সেইল করবো।
-এখন বলতে পারছি না, বাসায় গিয়ে তোমার ভাবীর সাথে আলাপ করে দেখি, যদি যেতে পারি কাল বিকেলের মধ্যে ফোন করে জানাবো। তাহলে আজ উঠি?

৯।
বাসায় এসে সারা দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মনিরার সাথে আলাপ করলেন। মনিরা বললো-  
-তা হলে ওদের সাথে যেয়ে দেখে আস, কাল রফিক ভাইকে জানিয়ে দাও
পর দিন কিছু কাপড় চোপড় আর কয়েকদিন থাকতে হলে যা যা প্রয়োজন তা একটা ব্যাগে গুছিয়ে মনিরা রাশেদ সাহেবের হাতে দিয়ে বললো-
-দেখ কি হয়, যতদূর সম্ভব সহ্য করার মত মন মানসিকতা নিয়ে দেখে আস যদি কিছু হয়
রাশেদ সাহেব মনির হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার পাড়ে একটা তেলের ডিপোতে ভেড়ান রফিকদের তেল বাহী কোস্টার জাহাজে এসে উঠলেন।
মহিউদ্দিন জাহাজে ছিলো। রাশেদ সাহেবকে আসতে দেখে নেমে এসে হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে তার এক স্টাফের কাছে দিয়ে বললো-  
-ইনি আমার সিনিয়র ভাই, ব্যাগটা আমার পাশের যে রুমটা রেডি করেছ সেখানে রেখে এসো
রফিক তাদের ডিসচার্জ করা তেলের হিসেব নিকেশ করার জন্য অফিসে গেছে, ও ফিরে এলেই জাহাজ ছেড়ে দিবে। অনেক দিন পর এই পথে চিটাগাং যাবার জন্য এসেছেন, মনের মধ্যে একটা কেমন যেন তোলপাড় করা ভাব এসে উদয় হলো। আবার সেই পথে! যে পথ ছেড়ে দিয়েছি প্রায় আটাশ বছর আগে। মানুষের নিয়তি কখন কোথায় নিয়ে যায় কে জানে! কয়েক মিনিটের মধ্যেই রফিক ফিরে এলো।
মহিউদ্দিন উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞেস করলো-
-কি খবর?
-আর বলো না, আজ ছয় দিন যাবত পানির নিচে থেকে জাহাজের ট্যাঙ্কে তেলের টেম্পারেচার দুই ডিগ্রী কমেছে বলে তেলের ভলিউম কমবে না? তা ডিপো ম্যানেজার কিছুতেই মানবে না। উনি চিটাগাং থেকে লোড করার পর যে টেম্পারেচার ছিলো সেই টেম্পারেচার ধরেই হিসেব করছে, স্বাভাবিক ভাবেই সাত আট শ লিটার ঘাটতি দেখাচ্ছে। বারবার তাকে বোঝাচ্ছি ডিসচার্জ করার সময় যে টেম্পারেচার পেয়েছেন সেই হিসাব করুন, না তিনি তা মানবেন না। আধা ঘণ্টা ধরে এই ঝামেলা। আজকের টেম্পারেচার দিয়ে হিসেব করে দেখালাম তাতে ওই পরিমাণ গেইন হয় কিন্তু হলে হবে কি, সে কিছুতেই তা মানতে রাজী না। দেখলেন রাশেদ ভাই, শেষ পর্যন্ত তার হিসেবেই মেনে নিয়ে আসলাম। কি করবো মেনে নিলাম, না হলে হয়ত দেখা যাবে সামনের এক মাসেও কোন ট্রিপ দিবে না। আর একটা ট্রিপ যদি মিস করি তাহলে কোম্পানির কত লস হবে বুঝতে পারছেন। এই হচ্ছে এখনকার অবস্থা।
-তাহলে তোমরা এর কোন প্রতিবাদ কর না কেন? সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিকে ডাকতে, তারা এসে দেখত বাস্তবে কি পরিমাণ লস বা গেইন হয়েছে।
-বলছি কি, বুঝতে পারছেন না? কোম্পানির খোদ এমডি এলেও তো ফলাফল একই দাঁড়াবে। আগামী এক মাসেও একটা ট্রিপ দিবে না। কোম্পানি এটা জানে আর জানে বলেই আমাদের কিছু বলে না। এর আগে আপনি যখন ছিলেন তখন সুইপিং ছিলো ৫% আর এখন কত জানেন? মাত্র ২%, তার পরেও এই অবস্থা।
-তাহলে এরা এটা দিয়ে করে কি? কি আর করবে, বিক্রি করে দালান বানায়, ব্যবসা করে।
-কার কাছে বিক্রি করে?
-কি যে বলেন রাশেদ ভাই আপনি এত দিন বিদেশে থেকে আর সরকারি চাকরি করে দেশের এই সব নোংরামির খবর রাখতে পারেননি। যাক এ নিয়ে আর মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। চলো মহিউদ্দিন জাহাজ ছেড়ে দাও নয়তো আবার সারা পথ উজান ঠেলে যেতে গিয়ে জ্বালানী খরচ বেড়ে যাবে।
এতক্ষণ জাহাজ স্ট্যান্ডবাই করা ছিলো, যে কোন সময় বন্দর ছেড়ে যাবার জন্য প্রস্তুত ছিলো
-চলেন ব্রিজে যাই।
-চলো।
ব্রিজে এসে জাহাজ ছেড়ে দিল। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর কূল বেয়ে নারায়ণগঞ্জ শহর ছাড়িয়ে খোলা জায়গায় আসতেই মহিউদ্দিন কলিং বেল টিপে তার স্টুয়ার্ডকে ডেকে চা নাস্তা দেবার জন্য বলে দিল।
বর্তমান চাকরির এই সব আরও ঘটনা নিয়ে, রাশেদ সাহেবের পরিণতি নিয়ে আলাপরফিক, মহিউদ্দিন এবং রাশেদ সাহেব সবাই সবার কথা মন দিয়ে শুনলেন।
মহিউদ্দিন বললো-  
-রাশেদ ভাই, আপনি কি পারবেন এই অনাচার অবিচার মেনে নিতে? ট্রেনিং সেন্টারে আমরা যে আপনাকে কী ভয় পেতাম তা আমাদের ব্যাচের প্রতিটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন। শুধু ভয় না ঠিক তার সাথে আপনাকে সব সিনিয়রের চেয়ে বেশি সমীহ করে চলতাম। আপনার নীতি বোধ, ব্যক্তিত্ব সব কিছু আমরা ফলো করার চেষ্টা করতাম। আপনি জানেন না, আপনার অবর্তমানে ইকবাল আর সেলিম আপনার ভয়েস নকল করে আপনার মত হেঁটে অভিনয় করে দেখাত। আর আজ সেই আপনাকে এই সামান্য চাকরি খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে। এটা কি ধরনের পরিহাস ঠিক বুঝতে পারছি না
রফিক সাথে সাথে বললো-
-আমি কিছুতেই এই অংক মিলাতে পারছি না। আপনি সেদিন যাবার পর থেকেই আমি ভাবছি কিন্তু কোন কূল কিনারা পাচ্ছি নাআচ্ছা ভাই এ দেশে কিছু খোঁজার চেয়ে ইংল্যান্ডে চলে যান। আপনার সব ভয়েজ তো ব্রিটিশ কোম্পানিতে আর গত বার না আপনি ওখানে গিয়েছিলেন, কাজেই আমার মনে হয় আপনার ভিসা পেতে কোন সমস্যা হবে না
মহিউদ্দিনও বললো-  
-হ্যাঁ ভাই আমারও তাই মনে হচ্ছে এটাই ভাল হবে।
-তোমরা ঠিক বলেছ, তবে নিজ দেশ ছেড়ে কে বিদেশে যেতে চায় বল? তোমরা বা আমি সবাই তো বিদেশে থেকে এসেছি তাই না? কাজেই বিদেশের কি সুখ তা যেমন আমি জানি তেমনি তোমরাও জান। আমাদের এই দেশের মত আর কোথায় এতো সুখ এতো শান্তি আছে বলতে পারবে? হ্যাঁ মানি যে চাকচিক্য বা জৌলুশ আছে চোখ ধাঁধানো রঙের বাহার আছে, প্রাচুর্য আছে কিন্তু শান্তি আছে? দেখি শেষ পর্যন্ত হয়ত তাই যেতে হবে।
ঢাকা শহর বল বা এই আমার নিজ দেশ বল এখানে আমার জায়গা নেই। হিসেব করে দেখ কত দিন আমি এদেশে থাকতে পেরেছি? তোমাদের সাথে তো আজকের সম্পর্ক নয়, গত প্রায় ত্রিশটা বৎসর যাবত আমাকে দেখে আসছ, মাঝখানে একটু দেখা সাক্ষাত না হলেও আমরা প্রত্যেকেই কিন্তু সবার খোঁজ খবর জানতাম। সত্যিই এ দেশ আমার জন্য নয়। এদেশের মাটিতে আমার মত হতভাগার ঠাঁই নেই। দেশকে আমি যত ভালোবাসি, এ দেশের আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি সবই আমার কত প্রিয়। দেশের মায়ায় বিদেশে থেকে যাবার মত কোন চিন্তা ভাবনা করিনি, চেষ্টা তো দূরের কথা। তোমরা জান না, মিজান জানে, আবুধাবিতে এডনক রিফাইনারিতে ভালো একটা চাকরি পেয়েছিলাম। পুরো ফ্যামিলি নিয়ে ওখানে থাকতে পারতাম। ক্যাপ্টেন বার্কি কত বলেছে চলো আমাদের ইউকেতে চলো, আমি তোমাকে নিয়ে যাব, গেলে হয় তো এতো দিনে ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে যেতাম, তবুও যাইনি শুধু দেশের মায়ায়। আর দেশ বারবার নানা ছল ছুতা ধরে আমাকে দেশের বাইরে পাঠাবেই। আমার ভাগ্য যদি এমনই হয় তাহলে যেতে হবে। এখানে যখন আমার একটু খানি জায়গা হবে না তাহলে আর কি করবো চলেই যাই।
এ পর্যন্ত বলে রাশেদ সাহেব হেসে ফেললেন।
তার মনে পরে গেলো লিটনের বাবার কথা। রাশেদ সাহেব যখন মংলায় চাকরি করতেন তখন সেখানকার এক গানের শিল্পী তার সাথে অপরূপা তিলোত্তমা ঢাকা শহর দেখার জন্য বেড়াতে এসেছিলো। তাদের এক প্রতিবেশী ছিলেন যিনি রেডিও বাংলাদেশে একজন পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। রাশেদ সাহেবের অতিথি গান গায় জেনে তার গান শোনার জন্য ডেকে পাঠালেন। গান শুনে আলাপের সময় বললেন এতো বড় ঢাকা শহরে আমাদের রাশেদের একটু জায়গা হলো না!
রফিককে কথাটা বলেই রাশেদ সাহেব আরও জোড়ে হাসতে লাগলেন। এই হাসির আড়ালে যে কত কষ্ট লুকিয়ে ছিলো তা এক মাত্র রফিক আর মহিউদ্দিন ছাড়া আর কেও জানতে পারেনি।
হাসি থামার পর বেশ কিছুক্ষণ নীরবতা, কারো মুখে কোন কথা নেই। এমন সময় স্টুয়ার্ড এসে নীরবতা ভেঙ্গে দিল,
-স্যার ডিনার টেবিল কি রেডি করব?
মহিউদ্দিন হাতের ঘড়ি দেখে রাশেদ সাহেবের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-রেডি করতে বলি?
-বল
একটু পরে নিচে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে রাশেদ সাহেব অবাক।
-একি মহিউদ্দিন, এ কি করেছ? এ তো রাজকীয় ভোজের আয়োজন!
-রাশেদ ভাই যে কি বলেন, ভেবেছেন আপনার কথা ভুলে গেছি? তবুও আমার মন বলছে আপনার মন মত কিছুই হয়নি। আপনার মনে আছে সেই পিকনিকের কথা?
-কোন পিকনিক?
-ওই যে আহসান স্যার যেবার গিয়েছিলেন
-সে আর মনে থাকবে না? এ কি ভোলা যায়? সেগুলি তো এখন স্মৃতি। তবে কি জান মহিউদ্দিন এখন আর আমার সে দিন নেই।
-কেন ভাবী বুঝি রাঁধতে পারে না?
রফিক বললো-  
-না মহিউদ্দিন তোমার অনুমান সঠিক নয়, ভাবীর রান্নার তুলনা নেই।
-তাহলে?
-আমার যে ডায়াবেটিস।
-ও, তাই নাকি?
-তোমার ভাবী আর কি দিয়েছে জানি না তবে ওষুধ গুলি দিতে ভুল করে নাই সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত, ব্যাগ খুলে দেখতে পার।
এমন সময় মহিউদ্দিনের মোবাইল বেজে উঠলো। পকেট থেকে বাম হাতে ফোন বের করে কানে নিয়েই বললো -ভাবী আপনার আয়ু অনেক দিনের, এই মাত্র আপনার কথাই হচ্ছিল, না ভাই বলছিলো যে তোমার ভাবী ওষুধ দিতে ভুল করার কথা নয়। নেন ভাবী ভাইয়ের সাথে কথা বলেন।
-হ্যালো!
ও পাশ থেকে মনিরার কণ্ঠ ভেসে এলো।
-কি করছ?
-এইতো রাজকীয় ভোজের সামনে বসেছি এখনই শুরু করবো, তোমরা কি করছ?
-আমরাও খেতে বসবো, ওষুধ গুলি খেও সময় মত
-হ্যাঁ সেই কথাই বলছিলাম, খাবো চিন্তা করো না।
রাশেদ সাহেব যাবার পর থেকেই মনিরার মনটা ছটফট করছিলো একটু কথা শোনার জন্য, কোথায় আছে, কি করছে জানার জন্য।
[চলবে]

No comments:

Post a Comment

Back to Top