নীল সাগর তীরে এই মায়াবী রাতের আঁধার চুপিচুপি আমায় ডেকে যায়।। এই ঘুমঘুম নিশিরাতে উদাসী বালুকা বেলায় ঝিরিঝিরি হাওয়া গুনগুন গান গেয়ে যেন হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়।। ওই দূর দিগন্ত পারে মিলন বাসর সাজানো তারার মিটিমিটি ঢেউয়ের কানাকানি যেন স্বপ্নের দেশে নিয়ে যায়।।
গাবতলি টু মহাখালী
দুইজন, দুইজন মহাখালী, মহাখালী। ডাইরেক্ট ডাইরেক্ট মহাখালী। এই যে একটু চাপেন বইতে দেন, আরে একটু ভিতরে যান না! প্যাসেঞ্জার উঠতে দেন, আরও দুইজন উঠবো। উঠেন ভাই উঠেন, সামনে যান। হ, কইলামতো ডাইরেক্ট, দশ টাকা। সামনে বাড়ান ওস্তাদ।
শিম্পাঞ্জির দেশে
রাস্তার দুই পাশে যতদূর দৃষ্টি যায় লাইন ধরে সব সুন্দর সুন্দর বাড়ি ঘর, এলো মেলো ভাবে কোন বাড়ি নেই। অধিকাংশই সিরামিক ইটের রঙের মত দেয়াল, উপরে লাল টালির দোচালা ছাদ। প্রতিটা বাড়ির সামনে সুন্দর করে কাঠের জাফরি করা বেড়া আর তার ভিতরে চমৎকার সব ফুলের গাছে ফুল ফুটে আছে। রাসেল শুধু একটা বৈশিষ্ট্য
অক্সফোর্ড এক্সপ্রেস-[২]-২
[পূর্ব প্রকাশের পর]
মাথা নিচু করেই চলে গিয়েছিল বছর দুয়েক আগের কলকাতায়। সেই দিন আর ফিরিয়ে আনার উপায় নেই।
কলকাতার টালি গঞ্জের অতি সাধারণ একজন স্কুল মাস্টারের মেধাবী মেয়ে দোলা কলেজে যাবার পর পাড়ার ডাক্তারি পড়ুয়া অভিজিতের কাছে পড়ত আর সেই সময়ের সাথে একটা সুক্ষ সূত্র ধরে কখন যেন উভয়ের অজান্তে একজন
অক্সফোর্ড এক্সপ্রেস-[২]-১
ভিক্টোরিয়া কোচ স্টেশনের ডিপারচার টার্মিনালের পাশে দাঁড়ান গ্রিন লাইনের অক্সফোর্ড এক্সপ্রেসে বসার পরে পরেই কোচটা ছেড়ে বাকিংহাম প্যালেস রোড দিয়ে বেকার স্ট্রিটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মটর ওয়েতে যাবার আগে বেকার স্ট্রিটে থেমে যাত্রী ওঠাবে। মাত্র দুই ঘণ্টার পথ। সামনে পিছনে দেখে কোচের পিছন দিকে গায়ের গরম জ্যাকেটটা
যাযাবরের চিঠি
প্রিয় শফিক,
আশা করি ভাল আছিস। অনেক দিন যাবত তোর কোন চিঠি পাই না। জানি বারবার এত করে বলার পরেও তোদের গ্রামের বাড়ি না গিয়ে চলে এসেছি বলে রাগ করেছিস তাই না? আমি ঠিক বুঝতে পেরেছি। কিন্তু, আমি কেন যাইনি সে
শ্বেতপদ্ম
নিশিদিন পড়ে মনে
তাল নারকেল সুপারি বনে
অনুরাগে ডাকে আকাশ ধরণী
হেমন্ত ছড়ায় শিশির মাখা চাঁদনী।
মাটির পরশ
চেয়ে চেয়ে দেখেছি বসে নদীর প্রান্তে
উড়ে যায় বলাকা সীমাহীন দিগন্তে।
নতুন ঐ কুড়ি গুলো ফোটে যেন লাজে
পাখা মেলে প্রজাপতি ওড়ে নানা সাজে।
শরতের নিমন্ত্রণ
দুপুরের রোদে কপোতীরা উড়ে যায়
শরতের শেষে দূরের ওই নীলিমায়।
বসে বসে দেখি তাই একা বাতায়নে
কোন বাঁধা মানে না দুই নয়নে।
বাংলার রূপ
মেঘনা যমুনা পদ্মার সঙ্গমে
দেখেছি বাংলার রূপ
নীল শাড়ী পরা গায়ের বধূ
জ্বালায় সুগন্ধি ধূপ
সাঁঝের বেলা দেখো মাটির ঘরে।
মেঘনা নদীর মোহনায় দুপুরে
রেখেছে ঘিরে বালুচরে মেঘের ছায়ায়
ঢেউ জাগে ঝিকিমিকি উত্তাল সাগরে।
এখানে পাখি ডাকে নদীর তীরে
দামাল ছেলে মাখে পথের ধুলা
সাম্পান মাঝী গান গেয়ে ভিড়ে
কভু যায় কি তাকে ভোলা।
নীলিমা সুদূর সীমানায়
সোনালী সূর্য উকি দেয়
রাঙ্গা মাটির ওই পাহাড়ে
দেখ ভাই নবীন সাথী ঘুম থেকে জেগে।
এই তো আমার সোনার বাংলা
বাংলার রূপ আমি খুঁজে পেয়েছি
চোখ জুড়ানো সবুজ বনে
স্বর্ণলতা দোলে কুঞ্জবনে পাখির গানে
প্রভাতে সূর্য উঠে গায়ের বাঁকে রক্ত লাল।
মৌন পাহাড়
সবুজের প্রান্ত দাঁড়িয়ে আকাশের নীলিমা ছাড়িয়ে
কুয়াশা চাঁদর গায়ে মৌন পাহাড় রয়েছ ঘুমিয়ে।
হৈমন্তী প্রভাতে দেখিনা তোমার মুখ খানি
কে যেন রেখেছে ঢেকে তার আঁচলে জড়িয়ে।
নিশীথিনী
ঝিল্লী ডাকা জোনাক জ্বলা নিশি রাতে
জোছনা চাদর গায়ে পৃথিবী ঘুমায়,
শিশির কণা মুক্তা হয়ে ঝরে মেঠো পথে
তমাল তরু শুধু ঘুম পারানি গান গায়।
ছুটির দিনে
চাপা বনে ফুল ফুটেছে আয়রে তোরা আয়
ছুটির দিনে ঘরে কি আর বসে থাকা যায়।
শহর ছেড়ে মন চলে যায় অনেক দূরের গায়
নদীর জলে সেথায় মাঝি পাল তুলে ওই যায়।
রক্তে ভেজা বাংলা
আমার ভাষাকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল
এত সাহস ওরা কোথায় পেয়েছিল?
রাজপথে ওরা চালিয়েছিল গুলি
ভাইয়েদের আঁখি গিয়েছিল খুলি।
ঘুম ভেঙ্গে জেগেছিল আটই ফাল্গুনে
ঝাঁপিয়ে পরেছিল সেদিন আমানের আগুনে।
মায়েরা বোনেরা যাদের দিয়েছিল তুলে
মন শুধু বলে তাদের যেওনা ভুলে।
ঊষা লগনে এসো তাদের জয়গান গাই
যাদের জন্য আজ বাংলায় কথা বলতে পাই।
প্রভাতে যে ভাষায় গান গায় বুলবুলি
শত জনমেও তাদের কেমনে ভুলি?
বারো মাসের কবিতা
চৈত্র মাসের পরে বৈশাখে ফুটে কামিনী
তাই যেন মধুময় গ্রীষ্মের যামিনী।
জ্যৈষ্ঠ মাসের পরে আসে আষাঢ়
কত রঙ এর ফুল ফোটে কতনা বাহার।
বিজয় বরণ
রক্ত নদী পেরিয়ে এনেছি স্বাধীনতা
ভেঙ্গেছি শিকল পাষাণ পরাধীনতা।
স্বাধীনতা আমায় দিয়েছে ভ্রমণ গুঞ্জরন
জয়গান হৃদয়ে জাগে অনুক্ষণ।
স্বাধীনতা সরোবর
বসন্ত স্নান করেছি স্বাধীনতা সরোবরে
আনন্দ বৃষ্টি তখন ঝরেছিল অঝোরে।
পলাশ কলি ফুটেছিল মনের উল্লাসে
শোণিত সাগরে ভেজা রক্তিম পরশে।
স্মৃতির ফাল্গুন
শিমুল শালুক এতো লাল কোথায় পেয়েছিল
বুক থেকে ফাগুন রক্ত ঢেলে দিয়েছিল।
কৃষ্ণচূড়া সাজল সেদিন সেই রক্তিম আগুনে
যে দিনের পথ চেয়ে বসে ছিল প্রহর গুণে।
সূচনা
চলতি পথে শুনেছি
নদীর কলতান, ভ্রমর গুঞ্জন, পাখির কুজন
পাতায় পাতায় বাতাসের শিহরণ
দেখেছি শান্ত অশান্ত ঢেউ, সন্ধ্যা বিজন,
তারার ঝিলিমিলি আকাশের নীলিমা
দিগন্তের ওই হাতছানি আর
শুক্লা তিথির পূর্ণিমা।
নেই যেখানে ইতি
এখনও ইচ্ছে করে কোন পূর্ণিমা রাতে
রবি ঠাকুরের জোছনা ভেজা পথে
রজনীগন্ধা সুবাস নিয়ে
মানসীর স্বপ্ন রাঙ্গা হাতে হাত রেখে
শিশির ভেজা বসন্ত
তোমাকে জানতে চেয়েছি
পৌষের হিমেল বাতাসে
চৈতী খর দহনে
বৈশাখী ঝড় জলে
আর শরতের সুনীল আকাশে।
ফাগুন বেলা
দিগন্ত বিস্তৃত মেঠো প্রান্তর
সময়ের হাত ধরে চলে নিরন্তর।
আকাশে ওড়ে সাদা মেঘের ভেলা
শান্ত অশান্ত উদাসী বালুকা বেলা।
আজও কি পড়ে মনে
মনে কি পড়ে সেদিন, যেদিন আমায় প্রথম দেখেছিলে?
চেয়ে ছিলে অবাক বিস্ময়ে, তারার মত চোখ দু’টি মেলে!
আমার পানে চেয়ে নীরব তুমি হয়েছিলে বিহ্বল দিশাহারা,
কখন যেন ডেকেছিলাম নামটি ধরে, পাইনি কোন সারা।
বারটি বছর আগে
তুমি কি এখনও আছ বারটি বছর আগের মত,
পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে থাক শিউলি গাছের নিচে?
রাতের আঁধারে ঘুম ভেঙ্গে জানালায় খুঁজে দেখ
জোনাকিরা আছে নাকি আমার পথের পাশে!
বারটি বছর পরে
আমি তো তেমনই আছি যেমন দেখেছিলে বারটি বছর আগে,
এখনও তোমার আশায় পথ চেয়ে বসে থাকি শিউলি তলে।
কোথা থেকে কি ঝড় বয়ে গেল, হয়ে গেল সব এলো মেলো,
কত যতনে গাঁথা কুড়ান ফুলের মালা খানি শুকিয়ে গেল।
সিক্ত অনুরণন
জোছনার রংধনু থেকে চন্দন এনেছি তোমায় সাজাব বলে,
আকাশের তারা এনেছি মালা গেঁথে তোমায় পড়াব গলে।
সাগর তলে রূপ নগরে বেঁধেছি তোমার জন্যে ছোট্ট বাসা,
বাঁকা চাদের কানের দুল পড়াব তোমায় সেই তো ছিল আশা।
স্মৃতির আয়না
প্রথম যেদিন এসেছিলে আমার দ্বারে
সেদিনের কথা আজো কি মনে পরে?
চাঁদ ছিলোনা আকাশে, জোনাকি দেখি বনে।
Subscribe to:
Posts (Atom)